Know Everything about How to Prevent and Cure Flatulence( পেটে বায়ুরােগ ) | Explained in Bengali

পেটে বায়ুরােগ ( Flatulence )

পেটে বায়ু হওয়’টা আজকাল প্রায় প্রত্যেকেরই দেখা যায় । এর প্রধান কারণ , হল যকৃতের দুর্বলতা , ঠিকভাবে হজম না হওয়া , পুর তন আমাশয় প্রভৃতি । অধিকাংশ স্থলেই আহারের দোষে হজম ঠিকভাবে হয় না ও ধীরে ধীরে যকৃতের দুর্বলতা এসে যায় । পেটে বায়ু হলে ক্ষুধা ঠিকমত হয় না , রাত্রে নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটে , মাথা ঘােরে ; অনেক সময় হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতা হয়েছে বলে মনে হয় , কাজকর্ম ভাল লাগে দিন দিন শরীর দুর্বল হতে দুর্বলতর হতে থাকে ।
এ রােগ জীবন – সংশয়কর না হলেও জীবন – সংশয়কর রােগের সম্মুখীন করে ; তা ছাড়া তিলে তিলে মানুষের জীবনী শক্তিকে , কর্মশক্তিকে নষ্ট করে দিয়ে থাকে ।
পেটে কম – বেশী বায়ু অজিকাল অনেকেরই হয়ে থাকে । এর প্রধান কারণ , ভেজাল খাদ্য গ্রহণ । তাছাড়া ক্ষুধা হজমশক্তি না বুঝে সময়ে অসময়ে আহার্য । গ্রহণ । পেটে উল্লেখযােগ্য বায়ু দিনের পর দিন বা কয়েক দিন অথবা মাঝে মাঝে হতে থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হয়ে উহ । নিরাময়ের চেষ্টা করা নিতান্ত কর্তব্য । তাছাড়া বায়ু হয়ে কারাে নিঃসরণ হয় , কারো বা নিঃসরণ হয় না । আসল কথা পেটে বায়ু জমাই খারাপ , তবে নিঃসরণ হলে তবু একটু রক্ষা । যাতে বায়ু নিঃসরণ হয় ও আর হতে না পারে তার জন্য পরিমিতভাবে সহজপাচ্য আহার সময়মত গ্রহণ , উপবাস ও নিয়মিতভাবে আসন অভ্যাস করাই শ্রেষ্ঠ উপায় ।

নিরাময়ের উপায় ও করণীয়

যৌবনাথেই বেশীর ভাগ লোকেরই পেটে বাবু হয়ে থাকে । আর একটু বেশী বয়সে তাে কথাই নেই । যে কোন বয়সেই হউক না কেন , পেটে বায়ু হলেই প্রত্যহ সকালে ঘুম ভাঙলেই শয্যায় শুয়ে পবন – মুক্তাসন ’ করে ২১৩ মিঃ পর এক মাস কাল পান করা কর্তব্য । এতে বা তা নিঃসরণ হয়ই , বায়ু আর হতেও পারে না , কোষ্টও বেশ পরিস্কার হয় । বয়স্ক ব্যক্তিদেয় পবন – মুক্তাসন খুব ভাল ফল হয় ।
শয্যাত্যাগের পর ছাড়া মাদি ত্যাগের পর ও সকাল – সন্ধ্যায় দুই বেলাও করা যায় । A ম ভাঙলে শয্যায় শুয়েই পবন – মুক্তাগন অবশ্য করণীয় । মশালি ত্যাগের পর হাত মুখ ধুয়ে বেশী বয়স্কদের কোন আসন করা সম্ভব না হলে অকূর্মাসন , জানুশিরাসন আর যাদের অন্যান্য অসন সম্ভব তাদের সর্বাঙ্গাসন মৎস্যাসন , জানুশিরাসন , অকুর্মাসন , অথবা র্পাসন , বিপরীতকরণী , মৎস্যাসন , হলাসন , অর্ধকুর্মাসন করা উচিত ।
সন্ধ্যায় — যাদের অন্য কোন আসন করা সম্ভব নয় , তাদের শাসন অকূর্মাসন , অথবা জানুশিরাসন , আর যাদের সম্ভব , তাদের সর্বাঙ্গাসন , মৎস্যাসন , শশকাসন , অর্ধকূর্মাসন , অথবা হলাসন , অর্ধ কূর্মাসন আনুশিরাসন , করণীয় ; তবে সকালে শয্যায় প্রত্যহই পবন – মুক্তাসন অবশ্য করণীয় । শুধু অাসন করলেই কিন্তু রােগ নিরাময় হয় না , আহারাদি বিষয়ে বিচার করে , হজমশক্তি বুঝে অাহার গ্রহণ করতে হয় । যেমন — সকালে ঘোল , পূর্ণ অাহাবের সময় ভাত , মাছ , পেপে , কঁাচক প্রভৃতির তরকারি , মুগ ডাল , দই প্রভৃতি খাওয়া উচিত ।
বায়ুরোগ গ্ৰন্ত দর আলু খেতে নেই । টিফিনের সময় বা বিকেলে ভাল ফল , ছানা বা মিষ্টি , অার ক্ষুধা না হলে সকালে বেল সিন্ধও খাওয়া যেতে পারে । স্যায় একটু মিছরির সরবৎ , রাত্রে ভাত , মাছ , তরকারি অথবা ডাল – রুটি ও ফল । পেটে বায়ুর সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে দুধ ঘন করে খাওয়া যেতে সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিতভাবে একাদশীর উপবাস আর পূর্ণিমা অমাবস্যার নিশিপালন করলে বােগ তো সারবেই , সাধারণ স্বাস্থ্যও ভাল হবে । তবে লক্ষ্য রাখা প্রয়ােজন যে , আহার্য গ্রহণের সময় যেন দক্ষিণ নাসায় শ্বাস প্রবাহিত হয় ।

উপসংহার

এই শৈল্পিক ব্লগে প্রতিটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন বেশিরভাগ অধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্সরা পরামর্শ দিয়েছেন।

দ্রষ্টব্য: এই ব্লগে প্রদত্ত তথ্য এবং অন্যান্য লিখিত সামগ্রী, বা কোনও লিঙ্কযুক্ত উপকরণগুলিকে না চিকিত্সার পরামর্শ হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত, না পেশাদার তথ্য বিশেষজ্ঞের বা চিকিত্সার জন্য তথ্য বিকল্প নয়, এটি কেবল একটি সাধারণ সচেতনতা এবং শিক্ষামূলক তথ্য ।