How to get rid of all Heart disease( হৃদরােগ ) with help of Yoga | Explained in Bengali

হৃদরােগ

 হৃদ্ বা হৃদয়কে ইংরেজীতে হাট বলে । হৃদপিণ্ড আমাদের দেহের একটি অতি প্রয়ােজনীয় বস্তু । ইহা দ্বারা দেহে সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল করায় । হৃদপিণ্ডের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে । কিন্তু অনেক যােগী যােগ সাধনার দ্বারা এই হৃদপিণ্ডের কাজ বন্ধ রেখেও জীবিত থাকেন । হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার নানা নিয়ম – পদ্ধতি আছে । হৃদপিণ্ড দুর্বল হলে যে যত সুস্থ সবল ব্যক্তি হউক না কেন তার জীবন – প্রদীপ যে কোন সময় নিভে যেতে পারে ।
এই হৃদরােগ নানা প্রকার । এই রােগের অত্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ায় অনেকেই আচমকা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে । এ রােগ অনেক সময়েই মেদবহুলতা , অন্ন , অজীর্ণ , পেটে বায়ু , দুশ্চিন্তা , অধিক খাটুনি , রাত্রি – জাগরণ , অসময়ে আহার , প্রয়ােজন মত শারীরিক শ্রম না করা প্রভৃতির জন্য হয়ে থাকে ।

 প্রতিকার

এ রোগের হাত হতে মুক্ত থাকতে হলে এই বিষয়গুলির প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হয় — পেটে যাতে বায়ু না হয় , খাদ্য বস্তু যাতে সুচারু ভাবে হজম হয় , কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে , তার ব্যবস্থা করা ; নিয়মিত ও পরিমিত আহার করা ; বয়স ও দেহের গঠন ও সহ্য শক্তি বুঝে সকালে বা সন্ধ্যায় অল্প অল্প । আসন করা ; মুক্তায়ুতে বেড়ানো , দেহে অপ্রয়ােজনীয় মেদ হতে না দেওয়া । এমন ভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যাতে খাদ্যবস্তু সুচারু ভাবে হজম হয় । করণীয় আসন — সকালে শয্যায় পবনমুক্তাসন করে ২/৩ মিনিট পর জল পান । জল পান করার পর মলাদি ত্যাগ করে বিপরীতকরণী ; অর্ধকূর্মাসন , যোগনিদ্রা অথবা সন্ধ্যায় সর্বাঙ্গাসন , মৎস্যাসন , যােগনিদ্রা , পেটে মেদ থাকিলে উখিত পদাসন , এছাড়া দুবেলা পূর্ণ আহারের পর বজ্ৰাসন । যাহাদের হৃদপিণ্ড কিছুটা দুর্বল মনে করেন বা হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়ােজন মনে করেন , তাদের পক্ষে যােগনিদ্রা অবশ্য করণীয় । আর যাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল নহে , তাদের যােগনিদ্রার তেমন কোন প্রয়ােজন পড়ে না । তবে পুর্ণ আহারের পর বজ্ৰাসন । বজ্ৰাসন করার পর শবাসন , আর শয্যা ত্যাগের পর শয্যায় পবনমুক্তাসন অবশ্যকরণীয় । এতে পেটে বায়ু হবে না , হৃদপিণ্ড বিশ্রাম পাবে , হৃদপিণ্ডের রােগ হওয়ার ভয় থাকবে না । উপরােক্ত নিয়ম পালন করলে হৃদপিণ্ড – ঘটিত যাবতীয় রােগের কোন আশঙ্কা থাকবে না । এ পথ্য । হৃদরােগের বা দুর্বলতা বুঝলেই যাতে কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে , পেটে বায়ু না থাকে , খাদ্য – বস্তু হজম হয় , তার জন্য উপরোক্ত আসন , পথ্য ও প্রয়াে জন মত বিশ্রাম একান্ত আবশ্যক । সকালে দই চিড়া , অম্নদোষ থাকলে টক – জাতীয় কোন খাদ্য বা দই চিড়া না খেয়ে দুধ সাগু বা মুড়ি , শশা , কড়াপকের সন্দেশ , মিষ্ট রসাল ফল , নিজের হজমশক্তি ও দৈহিক অবস্থা বুঝে গ্রহণ করতে হবে । ১৭ | ১১ টার মধ্যে তরকারী , ছােট তাজা মাছের ঝোল , খাওয়ার শেষে অল্প শশা বা যে কোন মিষ্ট রসাল ফল ; বিকেলে ফল , ছানা , মুড়ি , চিড়ে ভাজা , সুজির মিষ্টান্ন এর যে কোনটা অবস্থা বুঝে খেতে হবে । দুপুরে গরম জলে মিছরি বা চিনি ভিজিয়ে উহা ঠাণ্ডা করে খাওয়া যেতে পারে । হৃদপিণ্ড – ঘটিত কোন রােগ বা দুর্বলতা বুঝতে পারলেই মৃতপ ও উগ্র মসলাযুক্ত কোন খাদ্য খাওয়া উচিত নয় ।

উপসংহার

এই শৈল্পিক ব্লগে প্রতিটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন বেশিরভাগ অধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্সরা পরামর্শ দিয়েছেন।

দ্রষ্টব্য: এই ব্লগে প্রদত্ত তথ্য এবং অন্যান্য লিখিত সামগ্রী, বা কোনও লিঙ্কযুক্ত উপকরণগুলিকে না চিকিত্সার পরামর্শ হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত, না পেশাদার তথ্য বিশেষজ্ঞের বা চিকিত্সার জন্য তথ্য বিকল্প নয়, এটি কেবল একটি সাধারণ সচেতনতা এবং শিক্ষামূলক তথ্য ।

Leave a Comment