Know Everything about Eye disease( চক্ষুরােগ / দৃষ্টিক্ষীণতা ) | Explained in Bengali

চক্ষুরােগ বা দৃষ্টিক্ষীণতা

চোখের যত প্রকার রােগ চক্ষুরােগ বহু প্রকারের । আয়ুর্বেদ মতে প্রায় ৭0 • ৮0 টি রােগের বর্ণনা আছে । দৃষ্টিক্ষীণতাও উহার মধ্যে একটি । চক্ষুরােগের প্রধান কারণ যকৃতের দোষ , সূর্যগ্রন্থির দুর্বলতা ও রক্তের ক্ষারভাগ কমে যাওয়া । আছে , তাহার অধিকাংশই সাময়িক , কিন্তু চোখে ছানি পড়া , দৃষ্টিক্ষীণতা সাময়িক নহে । ছানি পড়তে আরম্ভ করলে ঠিকভাবে যত্ন না নিলে ঐ ছানি বৃদ্ধি পেয়ে শেষে এমন অবস্থা হয় যে , অস্ত্রোপচার না করলে আর শেষে উপায় থাকে না । আবার দৃষ্টিক্ষীণতা সুরু হলেও ঠিক তাই ; প্রথম অবস্থা থেকে যদি ঠিকভাবে যত্ন নেওয়া না হয় তাহলে ক্রমেই ইহা বৃদ্ধি পায় । দৃষ্টিক্ষীণতা দুই প্রকার – কাছের জিনিষ কম দেখা বা দূরের জিনিষ কম দেখা । অনেকে এই রােগের আদি কারণ দূর না করে চশমা ব্যবহার করে থাকে । চশমা ব্যবহারে হয় তো আবছা জিনিষ স্পষ্ট দেখা যায় , কিন্তু চোখের আদি রােগ দূর হয় না । অনেকের কিছুদিন পর চশমা ছাড়া কোন কাজ – কর্মই করা সম্ভব হয় না , এমন কি চশমা বদলাতে হয় । দৃষ্টিক্ষীণতা রােগ যে দুই রকম তা পূর্বেই বলেছি । এই দুই রকম রােগকে আধুনিক মতে ইংরেজীতে মাইওপিয়া এবং হাইপার মেট্রোপিয়া বলা হয় ।
এই রোগ হলে অনেক সময় চোখে ঝাপসা দেখা যায় , সময় সময় চোখে জল পড়ে ; রাত্রে আলাে ঝাড়ের মত দৃষ্ট হয় , কাছের জিনিষ স্পষ্ট , দূরের জিনিব অস্পষ্ট দেখা যায় । সাধারণ স্বাস্থ্য ও হজমশক্তি ভাল থাকলেও অনেক সময় ৪০ বৎসর বয়সের পর এই সমস্ত লক্ষণের সৃষ্টি হয় । ইহাকে আমাদের দেশে ‘ চাল্লিসায় ধরা আমাদের দেশে সাধারণতঃ ৪০ বৎসর বয়সের পর মানুষের অগ্নিবল কমে যায় , সঙ্গে সঙ্গে রক্তের জোরও কমে যায় বলে স্নায়ুও দুর্বল হয়ে পড়ে , যার জন্য চোখের দৃষ্টি – ক্ষমতা কমে যায় , কম – বেশী ঝাপসা দেখে , চোখে জল কাটে ইত্যাদি লক্ষণ উপস্থিত হয় । বলে ।

রােগের কারণ

আমাদের দেহ বহু শিরা – উপশিরা , পেশী , স্নায়ু , অস্থি প্রভৃতি দ্বারা তৈরি । অগ্নি , বরুণ ও বায়ু এই তিনটির সমাবেশেই আমাদের দেহ তৈরি । ক্ষিতি , অপ , তেজঃ , মরুৎ , ব্যোম এই পঞ্চভূতে জীবদেহ তৈরি । সমস্ত স্নায়ুর প্রধান কেন্দ্রস্থল মস্তক এই দেহের উপরাংশে অবস্থিত । সেই মস্তকের সম্মুখভাগে বহু স্নায়ুর সমাবেশে আমাদের চক্ষু তৈরি । এই চক্ষুর মধ্যে অসংখ্য স্নায়ু ; ইহার কারিগরী মানুষকে বিস্ময়াভিভূত করে তােলে । কতকগুলি স্নায়ুর সমাবেশ ও উহার অতি পাতলা পর্দা ইত্যাদি অতি সূক্ষ্ম কারিগরীর বিষয় আলােচনা করতে গেলে বইয়ের পৃষ্ঠাঙ্ক বৃদ্ধি হবে এবং ২ র্ণনা দ্বারা সমাধানে আসতে বিলম্ব হবে । এ সমস্ত আলােচনা বিশদভাবে না করে কি ভাবে রােগের সৃষ্টি হয় সে নিয়ে আলােচনা করা যাক ।
সূর্যগ্রন্থির কাগ | ত্বকে হজম করান । বিশেপাৰে পৰিপ্ত অর্থ বস খাদ্য – বস্তুকে হওম করে এল , ত্বকে চিনি – ঞ্চিত হতে সাহায্য করে এবং এর পূন্ম সারভাগ চোখের ‘ গাবরণ ‘ অক্ষিপটকে লক্ষ ক শক্তি প্রদান করে । এই সুন্থি দুর্বল হলে কি মুখ্য স্নল ঠিকভাবে নিঃসরণ না হলে পদ্য – বস্তু তে । ঠিকভাবে হজম হই না , পণ , ঠিকভাবে স্বীয় কোলে শর্করাকে মজুত রাখতে পারে , যার জন্য চক্ষুর অাবণ এ অগিট ঠিকতাবে পালো প্রেহণের সাহায্য বা ক্ষমতা পায় না । এ ছাড়া বায়ু , পিত্ত , কফ কুপিত হলে চক্ষুরোগের সৃষ্টি হয় । বায়ু , পিত্ত ও ঝফের মি ভি কাজ পায়ু , চোখের গবরক বিপ্পী , অক্ষিপট , নয়নমণি প্রভৃতি নির্মাণ করে । পিত্ত অক্ষিপটকে আলোকশক্তি দান করে , আর কফ চোখের যাবতীয় রস সংগ্রহ করে । এই রস দ্বারাই চক্ষুর গ্যাংশ চঞ্চ চঝে থাকে ও চক্ষুকে প্রয়োজন মত ধৌত করার ও ৭ জলের সৃষ্টি করে । আধুনিক মতে চক্ষুর সূক্ষ্মাংশকে চকচকে রূপা ও ধৌত করার অন্য প্রয়ােজনমত জলের সৃষ্টি করার কাজ টিয়ার ম্যাণ্ডের ।
এই বায়ু , শিপ্ত ও কফ কুপিত হলেই চক্ষুরােগ সৃষ্টি হয় । বায়ু কুপিত হলে চোখের রস , ধাতু ও শ্লেষ্মা শুকিয়ে যায় । চক্ষুৰ প্ৰথম পটল ৰা প্ৰথম ব্যর শুকিয়ে গেকে ই পা দৃষ্টি দেয় ঘটে অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ হয় ও ঝাপসা দেখা যায় । এই ভাবে যদি দ্বিতীয় তৃতীয় টল বা স্তর শুষ্ক হয় তাহলে দৃষ্টিশক্তি আয়াে বেশী ক্ষীণ হয় ; চতুর্থ পটল শুষ্ক হলে দৃষ্টিশক্তি একেবারে কমে যায় , সমস্ত কিছুই অস্পষ্ট হয়ে উঠে । দেহের পিত্ত কুপিত হলে যকৃৎ দুর্বল হয়ে মানুষের সাধারণ স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয় , ফলে পিত্ত নিজের বিশুদ্ধি রক্ষা করতে পারে না , চোখের স্তর বা পটলকে বিষাক্ত করে উহাদের রূপগ্রহণ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় । ধীরে ধীরে ছানি পড়তে থাকে ও দৃষ্টিশক্তিও নষ্ট হয়ে যায় । বায়ু ও শ্লেষ্ম দোষের চেয়ে চোখের পক্ষে অগ্নি বা সূর্য দোষই মারাত্মক । যকৃতের সুস্থতা থাকলে কখনও চক্ষুরােগ হতে পারে না । যকৃতের অন্তর্মুখী রসই পিত্ত গঠনে সাহায্য করে । অতএব এই যকৃৎ খারাপ হলে চোখ খারাপ হবেই । যকৃৎ যার ভাল তার যদি অন্য কোন কারণে চক্ষুরােগ হয় , সে রােগ নিরাময় হওয়া সহজ বা যকৃত ভাল থাকা শক্তি অবস্থায় চক্ষুরােগ হলে অতি সহজে চক্ষুরােগ ভাল হয় । কিন্তু যকৃৎ খারাপ হয়ে যে চক্ষুরােগ হয় উহা নিরাময় হওয়া অতি কঠিন । আসল কথা হল , যকৃৎ খারাপ হলে যে চক্ষু রােগ হয় উহা অতি কঠিন । যকৃৎ ভাল থাকলে সহসা চক্ষুরােগ হয় না , আর অন্য কারণে হলেও উহা সহজেই নিরাময় হয়ে থাকে ।
শ্লে – দোষ ঘটলে রাতকানা বা রাত্ৰাহ্মরােগ হয়ে থাকে । ব্রাহ্মরােগ হলে দিনে ঠিক দেখা যায় , রাত্রে কিছু দেখা যায় না ।
অতিরিক্ত বীর্যক্ষয়ের দরুণ ( বিবাহিত অবিবাহিত অবস্থায় ) দেহের রক্ত দুর্বল হয়ে স্নায়ুর দুর্বলতা ঘটে , ইহাতে চক্ষুরােগের সৃষ্টি হয় । যকৃতের দোষ , অতিরিক্ত স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক ভাবে শুক্রক্ষয় প্রভৃতি কারণে শিবশতি গ্রন্থি প্রকৃতির অতিক্রিয়তার জন্য অফটিক নার্ভ প্রভৃতির দুর্বলতা হেতু দৃষ্টিক্ষীণতা রােগের সৃষ্টি হয় । এই সমস্ত কারণে স্নায়ুর দুর্বলতা সৃষ্টি হয় , স্নায়ু ঠিকভাবে রসদ না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে , যার জন্য চক্ষুরােগ দুরারােগ্য হয়ে উঠে । বিবাহিত জীবনে অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় পুরুষের যত ক্ষতি হয় মেয়েদের তত ক্ষতি হয় না । পুরুষের রক্তের সারভাগ কমে গিয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে । ফলে স্নায়ুগ্রন্থি দুর্বল হয় ও ধীরে ধীরে হজমশক্তিও নষ্ট হয় ; যার ফলে যকৃৎ দুর্বল হয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকে । কিন্তু মেয়েদের তেমন ক্ষতি হয় না বলে পুকুবের মত তাদের চক্ষু তত খারাপ হয় না । কিন্তু মেয়েদের অতিরিক্ত ব্যবহারে ধারণা – শক্তি কমে গিয়ে অথবা অবিবাহিতা অবস্থায় অতিরিক্ত কাষ বিস্তার ও কামভাবাপন্ন হওয়ার দরুণ । এক প্রকার শ্বেতস্রাব হয় , যাহাকে প্রদৱ ৰলে । এই প্রদরে আক্রান্ত হয়ে যে সুষের সৃষ্টি হয় উহা দ্বারা প্রায় সময়ই মেয়েরা দেহস্থ শুক্ৰ হারায় । যার ফলে তাদের দেহ দুর্বল হয় এবং তারা দৃষ্টিক্ষীণতা রােগে আক্রান্ত হয় । সাধারণ ভাবে মেয়েরা দাম্পত্য – জীবনে অতিরিক্ত অপব্যবহার করলে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পরােক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেই । আর অবিবাহিতা মেয়েরা অতিরিক্ত কাম- চিন্তা , পুরুষের সঙ্গে বেশী মেলামেশা করার দরুণ কামােত্রে প্রভৃতি কারণে অনিয়মিত স্রাব , শ্বেত প্রদরাদি রােগের সৃষ্টি হয় , তাতে শুধু দৃষ্টিক্ষীণতা রােগের সৃষ্টি হয় না , সাধারণ স্বাস্থ্যও নষ্ট হয় । এ সমস্ত ছাড়াও চক্ষুরােগের আরও নানা কারণ আছে । যদি চোখে ধূলা – ধূম লাগে , আবছা জায়গায় বসে পড়া – শুনা করে , প্রত্যহ সূক্ষ্ম জিনিসের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে অনেকক্ষণ কাজ করে , সুচ – সূতার সূক্ষ্ম কাজ চোখে জোর দিয়ে করে , ছােট ছােট অক্ষরযুক্ত লেখা চোখে জোর দিয়ে পড়ে , ঘন ঘন সিনেমা দেখে অথবা খুব জোরালাে আলাের দিকে তাকিয়ে কাজ করে বা বই পড়ে , তবে এসব কারণেও চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয় । অনেক সময় বহুদিন একই দৃষ্টিতে অনেক ক্ষণ ধরে একই বস্তুর উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেও দৃষ্টিক্ষীণতা জন্মে ।

নিরাময়ের উপায়

যাদের লিভারের দোষে দৃষ্টিক্ষীণতা হয় অর্থাৎ লিভারের দোষে যাদের হজম শক্তি দুর্বল হয় , পেটে গ্যাস হয় , অম্বল প্রভৃতি হয় তাদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হলে রােগীদের লিভার ভাল হওয়ার জন্য ও হজমশক্তি বাড়াবার জন্য আহারাদি বিষয়ে সংযম রক্ষা করা এবং নিয়মিত ভাবে সকালে সূর্যোদয়ের পূর্বে শষ্যাত্যাগ করে এক গ্লাস জল পান করা উচিত । তারপর মলাদি ত্যাগন্তে হাত – মুখ ধুয়ে বিশেষ ভাবে মুখ ধােয়ার সময় মুখে যত জল ধরে জল নিয়ে তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে চোখে ২০৩০ বার ধীরে ধীরে জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হয় । এরপর বিপরীতকরণ , মৎস্যাসন , অর্ধকূর্মাসন এবং সন্ধ্যায় সর্বাঙ্গাসন , মৎস্যাসন , জানুশিরাসন অথবা শীর্ষাসন , অর্ধকূর্মাসন করণীয় । এর সঙ্গে সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাদ্য পরিমিত ভাবে গ্রহণ , শাক – সজি তরিতরকারী , ফল সাধ্যমত খেতে হবে । এমন ভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যা ভাল ভাবে হজম হয় ।
যাদের অত্যধিক বীর্যক্ষয়ের দরুণ দৃষ্টিক্ষীণতা রােগ জন্মে , তাদের আহারাদি েবিষয়ে সতর্ক থেকে সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অবস্থায় বীর্বপাত বন্ধ করে কয়েক মাস বীর্যধারণ করে ব্রহ্মচর্য রক্ষা করতে হবে । এর সঙ্গে নিয়মিত ভাবে সকাল ও সন্ধ্যায় আসন – মুদ্রা এবং নিয়ম পালন করতে হবে । প্রত্যহ যাতে কোষ্ঠ ভালভাবে পরিষ্কার হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ও তার ব্যবস্থা করতে হবে । সকালে শয্যাত্যাগের পর জলপান , মলাদি ত্যাগ ও পূর্বে উল্লিখিত ভাবে চোখে জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা , তৎপর সর্বাঙ্গাসন , মৎস্যাসন , গােমুখাসন , মহামুদ্রা , অশ্বিনী মুদ্রা , সন্দীপনী মুদ্রা এবং সন্ধ্যায় শীর্ষাসন , জানুশিরাসন , গােমুখাসন , সন্দীপনী মুদ্রা প্রভৃতি আসনের পর সহ হলে সামান্য গরম দুধ অথবা মিছরির সরবৎ গ্রহণ করা কর্তব্য ।

চক্ষুরােগ দূর করার বা চক্ষু ভাল রাখার জন্য পালনীয়

বেশ রাত্রি জাগরণ করে পড়াশুনা না করা , সূর্যোদয়ের পূর্বে শয্যাত্যাগ করা , দূরে ফাকা জায়গায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করা । মিটমিটে আলােতে পড়াশুনা না করা । সবুজ মাঠে বা গাছের দিকে অনেকক্ষণ তাকানন । যকৃত যাতে ভাল থাকে এবং নিয়মিত ভাবে যাতে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় তার দিকে দৃষ্টি দেওয়া বা যত্ন নেওয়া । অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় না করা । সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য হজমশক্তি বুঝে গ্রহণ করা । সিনেমা বেশী না দেখা । চোখের স্নায়ুর উপর খুব জোর পড়ে এরূপ কিছু করা । দুই বেলা আহারের পর চোখ – মুখ ও কপাল জল দয়ে ভাল করে ধুয়ে দেওয়া । অস্বাভাবিক ভাবে চোখ বড় করিয়া একটানা কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে না থাকা । মাঝে মাঝে সকালে ত্রিফলার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা । এই সমস্ত করলে চোখ ভাল থাকে ও চক্ষুরােগ হলে সেরে যায় । যাদের দৃষ্টিক্ষীণতা রােগ হয় , তাদের প্রথমেই দৃষ্টি দিতে হবে হজমশক্তি ও কোষ্ঠ পরিষ্কারের দিকে তার সঙ্গে যদি নিয়মিত আসন অভ্যাস ও নিয়ম পালন করে , তাহলে দৃষ্টিক্ষীণতা রােগের হাত হতে মুক্ত হওয়া যায় । দৃষ্টিক্ষীণতা রােগীর একাদশী , পূর্ণিমা অমাবস্যার উপবাস ও নিশিপালন অবশ্য করণীয় । দৃষ্টিহীন রােগী প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ করে নবােদিত সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকাবে , তারপর ৮ – টার সময় চোখ খুলে বুজে সূর্যের দিকে মুখ করে সূর্যের আলো ফেলে এক বার বামদিকে আবার ডানদিকে মুখ ঘুরাবে । এইভাবে ৪৫ মিঃ করার পর ছায়ায় এসে ভাল শীতল জল দিয়ে চোখ ধুয়ে দুই হাতের চেটো দিয়ে ২/৩ মিঃ কাল চোখ ঢেকে থাকতে হবে সারাদিন ও রাত্রে যত বেশী বার ভাল করে শীতল জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা যাবে ততই মঙ্গল । পেট ভাল থাকলে ভাতের সঙ্গে সামান্য ঘি খেলে অথবা জলপাইয়ের তেল খেলে দৃষ্টিক্ষীণভায় বিশেষ উপকার হয় । এ ছাড়া রুই মাছের পেট , পাঠায় যকৃত ( লিভার ) , পুইশাক , কঁচকলা , পুটিমাছ , দুধ – ঘােলও বিশেষ হিতকর ।
 স্নানের পূর্বে পায়ের বুড়াে আঙ্গুলের নখ নিয়মিত তেল দিয়ে ভিজিয়ে দিলে এবং প্রত্যহ রাত্রে শােবার সময় পায়ের তলায় তিল তেল মালিশ করলে চক্ষু ভাল থাকে ও দৃষ্টিক্ষীণতা দূর হয় ।
ডালদ অ ভাজ । সিঙ্গারা , নিমকি ও তেলে ভাজা চ – কাটলেট প্রভৃতি খাও । উচিত নয় ।

উপসংহার

এই শৈল্পিক ব্লগে প্রতিটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন বেশিরভাগ অধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্সরা পরামর্শ দিয়েছেন।

দ্রষ্টব্য: এই ব্লগে প্রদত্ত তথ্য এবং অন্যান্য লিখিত সামগ্রী, বা কোনও লিঙ্কযুক্ত উপকরণগুলিকে না চিকিত্সার পরামর্শ হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত, না পেশাদার তথ্য বিশেষজ্ঞের বা চিকিত্সার জন্য তথ্য বিকল্প নয়, এটি কেবল একটি সাধারণ সচেতনতা এবং শিক্ষামূলক তথ্য ।

Leave a Comment